সাধারণত অনুবাদের একটা সমস্যা হচ্ছে এটা ঠিক আসল ভাষার অনুভূতি ধরতে পারেনা। এজন্য সাহিত্যের বই অনুবাদের ধারে কাছে যাওয়া উচিৎ নয়। তবে যেহেতু সেপিয়েন্স নন ফিকশন এবং এর বিষয়বস্তু আবেগ অনুভুতির চেয়ে বেশী যুক্তিনির্ভর ভাবনার, সে দিক দিয়ে ভাবতে গেলে এর অনুবাদ পড়া যায়। এবার অনুবাদের কথায় আসি, এই বইটির এতো ঝরঝরে অনুবাদ হয়েছে যে মনে হয় একেবারে মৌলিক কোন লেখা। এজন্য পুরো কৃতিত্ব প্রাপ্য অনুবাদকদের! ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটা বই বাংলায় উপহার দেয়ার জন্য। আর বইয়ের বিষয়বস্তু নিয়ে বেশী কিছু বলার নেই। পড়া শুরু করে দিন প্রথম থেকে। আমি এই নিয়ে দুইবার পড়লাম!
আমরা অনেক সময় পাঠ্যবইকে তেমন গুরুত্ব দেইনা। কিন্তু এখানে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে তা একেবারে নিরেট জ্ঞান। এজন্য পাঠ্যবই মনযোগ দিয়ে পড়া জরুরী। আমি গুগলে গৃহ ব্যবস্থাপনা নিয়ে সার্চ দিলে এই বইয়ের কিছু ইউনিট পাই। তখন পুরো বইটি নামিয়ে পড়া শুরু করি। এই বইয়ে মোট ১৬ টি ইউনিট রয়েছে, গৃহ ব্যবস্থাপনা, গৃহ ব্যবস্থাপনার ধাপ বা স্তর পরিচিতি, গৃহ সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সময় ও শক্তি ব্যবস্থাপনা, সঞ্চয়, বিনিয়োগ ও ঋণ, আবাসস্থল পরিকল্পনা, গৃহনির্মাণসামগ্রী ও আনুষঙ্গিক বিষয়, আসবাবপত্র নির্বাচন,বিন্যাস ও গৃহসজ্জা , গৃহপ্রাঙ্গন,ছাদ ও বারান্দার ব্যবহার, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বস্ত্র, ফ্যাশন,স্টাইল ও ডিজাইন, বস্ত্রে রং ও ছাপা, পোশাকে শিল্পকলার উপাদান ও নীতি, পোশাকের ছাঁট ও সেলাই, বস্ত্রের দাগ অপাসারণ ও সংস্করণ।
নিত্য দরকারী বিভিন্ন তথ্য নিয়ে ইউনিট গুলো সাজানো এবং এই বিষয়গুলো জানা থাকলে সম্পদের সুষম ব্যবহার করা যাবে।
বরাবরের মতোই শীর্ষেন্দু মাতিয়েছেন। মানুষের চরিত্রের ঘ্রাণ বাঘু মান্না পায়, কখনো মৌড়ির মতো, কখনো পোড়া কিছুর মতো, এভাবে কেউ লিখতে পারে? অনেক কিছু না লিখে গল্প শেষ করে দেয়া হয়েছে, যদিও আমরা জানি কী হতে যাচ্ছে।
যাঁদের কবিতা আমি খুব মন দিয়ে পড়ি, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তাঁদের একজন। শেলফে অনেকদিন ধরে পরেছিল, দেখি পড়া শুরু করে। কেমন যায় পরে বলব।
পঁচিশ পাতায় এসে জমে উঠতেই কয়েকটি কথা বলতে থামতে হলো। আগেই বলেছি নীরেন্দ্রনাথ আমার কাছে অন্য মাত্রার একজন কবি। ভূমিকায় উনি উল্লেখ করেছিলেন পত্রিকায় রবিবাসরীয় সংখ্যায় কবিতা নিয়ে লিখতে গিয়ে বইটি লেখা। উনি ছদ্মনামে লিখেছিলেন সেখানে। ধারণা করছি গল্পের খাতিরে উনি শৈশবের কবিকে জ্যাঠতুতো দাদার চড়-চাপড় খাইয়েছেন চুলের মুঠি ধরে। এই ধারণা আরো পোক্ত হয়েছে কবিতার ছন্দ মাত্রা বুঝাতে সকাল থেকে বাজার যাওয়া পর্যন্ত তিনজনকে দিয়ে ছন্দে ছন্দে কথা বলিয়ে।
হানিফ সংকেতের একটা স্কিডে এক ডাক্তার আর আরেক আতেলের সংলাপ চলছিল, ‘আপনার অতি পবিত্র, বিজারিত, মণি মাণিক্য খচিত, মধুর গন্ধে সুরভীত...' আজ কমলাকান্ত পড়তে গিয়ে বুঝলাম লাইনটা এইখান থেকে একটু অন্যভাবে কয়েকটা শব্দ পাল্টে মেরে দেয়া।