Ratings1
Average rating3
We don't have a description for this book yet. You can help out the author by adding a description.
Reviews with the most likes.
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে শিশু এবং কিশোরদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে উপন্যাসটি। একইসঙ্গে একজন পিতার সঙ্গে তাঁর সন্তানের স্নেহার্দ্র সম্পর্কের কথাও ফুটে উঠেছে। গল্পের ঘটনাক্রম আমাদের প্রায় সবারই কমবেশি পরিচিত। তাই গল্পের বিষয়বস্তু নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। কিন্তু—
ওখানে একটা বড়ো বটগাছ ছিলো। এখন গাছটা নেই। মিলিটারিরা কেটে ফেলেছে। কেটে ফেলেছে গাছটা। এখানে একটা মন্দির ছিলো। মন্দির। ওখানে পুজো করতো হিন্দুরা। মিলিটারিরা তাদের মেরে ফেলেছে। মন্দিরটা ভেঙে ফেলেছে। এখানে বস্তি ছিলো। এখন নেই। গরিব মানুষরা এখানে থাকতো। মানুষগুলোকে মেরে ফেলেছে মিলিটারিরা। বস্তি নেই। মানুষ নেই। আরেকটা মিলিটারির গাড়ি এলো। আরেকটা মিলিটারির গাড়ি এলো। আমাদের রিকশা চলছে। আরেকটা মিলিটারির গাড়ি এলো। আমাদের রিকশা চলছে। আরেকটা মিলিটারির গাড়ি এলো। আমাদের রিকশা চলছে। আরেকটা মিলিটারির গাড়ি এলো। আমাদের রিকশা চলছে। আরেকটা মিলিটারির গাড়ি এলো। আমাদের রিকশা চলছে। আরেকটা মিলিটারির গাড়ি এলো। আমাদের রিকশা চলছে।...
গোটা উপন্যাসটা লেখা হয়েছে এরকম অদ্ভুত আধো আধো বাক্যে। একই কথা বারবার বারবার পুনরাবৃত্তি করে করে বড়ো বাক্যকে এরকম ছোটো ছোটো বাক্যাংশে ভেঙে ভেঙে লেখা হয়েছে। আমার কাছে চূড়ান্ত বিরক্তিকর লেগেছে হুমায়ুন আজাদের এই গদ্যশৈলী। তাই বিষয়বস্তু পছন্দ হওয়া সত্ত্বেও লেখার ভঙ্গির কারণে উপন্যাসটি পড়ার সময় সবমিলিয়ে খুব একটা সুখ অনুভব করিনি।