Ratings1
Average rating4
শ্রীজাতর “উড়ন্ত সব জোকার” পড়ে খুব চমকে গেছিলাম। একেবারে আনকোরা কাব্যভাষা! তখন তো খুব বেশি কবিতা পড়তাম না। এখন হয়তো অনেক ত্রুটি চোখে পড়বে, কিন্তু নস্টালজিয়ার কারণে বইটা আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে। “জোকার” পড়ার পরে, কবির পরবর্তী বইয়ের জন্যে অধীর অপেক্ষায় ছিলাম। মনে আছে, “ছোটদের চিড়িয়াখানা” বেরোনোর একদিন পরেই কিনে এনেছিলাম বইটা। এবং গোগ্রাসে গিলেছিলাম।
আমি ওপর-ওপর প্রভুভক্ত, ভেতর-ভেতর হিংস্র !
আমার মতে, এই বইটির মাধ্যমেই শ্রীজাত নিজের স্বাতন্ত্র্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন পাকাপাকিভাবে। যাকে বলে, “এর পরে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি”।
কাল রাতে দৈবাৎ একটা কবিতা দেখে এই বইটার কথা আবার মনে পড়ে গ্যালো অনেকদিন পরে। রিভিউ শেষ করার আগে সেই কবিতা পুরোটাই এখানে তুলে দেওয়া যাক।
সমঝোতা, চাঁদের কুচি, নাকিসুরে রবীন্দ্রসংগীতশীতে পুরী, গ্রীষ্মে দিঘা, অভিমান, পালটা অভিমানভিড় থাকলে প্রোটেকশন, ফাঁকায় জানলার ধারে সিটরাতে তাড়াতাড়ি ফেরা, সকাল দশটার মধ্যে চানঘরে দস্যু, বাইরে গেলে একটা বেশ কবি-কবি ভাবরাতে শ-দেড়েক চুমু, দিনে পঁচিশবার টেলিফোনইমেজ, উল্কার গল্প, জন্মদিনে তন্দুরি-কাবাবঘরদোর গুছিয়ে রাখা, রাত না জাগা, সোজাসাপটা মনসিনেমার মতো দুঃখ, ভোরে ওঠা, মিষ্টিমিষ্টি কথাবিয়েশ্রাদ্ধভোটপৈতেহাসিকান্নামাসতুতোমামাতোনারীপুরুষের খেলা, টাকাপয়সা, খুচরো অমরতা...এসব, আমার কাছে, বলো, তুমি আশা করবে না তো?