Reviews with the most likes.
ইওরোপের রেনেসাঁন্স-এর কথা তো আজ আমরা সব্বাই-ই জানি। দানবীয় সব পরিবর্তন ও সংস্কারের ভেতর দিয়ে নতুন এক ইওরোপের জন্ম হয়েছিলো মধ্যযুগে। কুসংস্কারাচ্ছন্ন অন্ধকারে ঘেরা সে সমাজের খোলনলচেই পুরো পাল্টে দিয়েছিলো বুদ্ধিবৃত্তিক পুণর্জাগরণের এই আন্দোলনটি। ১৯ শতকে বঙ্গীয় সমাজেও এমন একটি সংস্কারমূলক আন্দোলন ঘটেছিলো, যাকে কেউ কেউ রেনেসাঁন্স হিসেবে অভিহিত করেন। গোলাম মুরশিদের এ বইটি লেখার মূল উদ্দেশ্য বাঙালি পাঠকের সঙ্গে সেই “বঙ্গীয় রেনেসাঁন্স”-এর পরিচয় করিয়ে দেয়া। বাঙলায় রেনেসান্স সত্যিই এসেছে কি না তা নিয়ে অনেকেরই হয়তো প্রশ্ন থাকবে মনে। অনেকটা সে প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্যই বইয়ের প্রায় ৬৩% তিনি ব্যয় করেছেন ইতালীয় রেনেসাঁন্স-এর ইতিহাস বর্ণনায়। পাঠককে ১৫/১৬ শতকের সে রেনেসাঁন্স-এর একটি সম্যক ধারণা দিয়ে এরপর তিনি ১৯ শতকে বঙ্গীয় সমাজে ঘটে যাওয়া বড় বড় সামাজিক পরিবর্তনগুলোর দিকে চোখ ফিরিয়েছেন। দুই সমাজের সংস্কারকে সমান্তরালভাবে দেখতে এবং দেখাতে চেয়েছেন মুরশিদ।
সত্যিই কি বাঙলায় রেনেসাঁন্স ঘটেছিলো? সে প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে আগে চোখ ফেরাতে হবে সে সময়ের বঙ্গীয় সমাজ কী কী পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে গিয়েছে সেসবের ওপর। কফির কাপটা নামিয়ে শক্ত হয়ে বসুন, ইতিহাসের রোলার কোস্টারে বসতে চলেছি এক্ষুনি!
ইওরোপে প্রোটো-রেনেসাঁন্স ১২-১৩ শতকের দিকে শুরু হয়েছিলো, যা পরিপূর্ণ রূপ পায় ১৫ শতকে এসে। যে সমাজ-সংস্কারকে মুরশিদ বঙ্গীয় রেনেসাঁন্স অভিহিত করেছেন, তার সূচনা ১৯ শতকের শুরুতে। দুই “রেনেসাঁন্স”-এর মাঝে প্রায় ৫০০ বছরের পার্থক্য। তবে এই বঙ্গীয় রেনেসাঁন্স নাকি প্রথমে শুরু হয়েছিলো এশিয়াটিক সোসাইটির কয়েকজন ইংরেজ পণ্ডিতের হাতে, ১৮ শতকের শেষে। ১৭৮৪ সালের জানুয়ারী মাসে ইস্ট ইণ্ডিয়া কম্পানির কয়েকজন কর্মকর্তা মিলে এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন; ভারতবর্ষের ভাষা, ধর্ম, সংস্কৃতি, সাহিত্য, ভূগোল ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা করা ছিলো এদের লক্ষ্য। এই সোসাইটির একজন পণ্ডিত উইলিয়াম জোনস একদিন অতর্কিতে ঘোষণা করেন সংস্কৃত (এবং, বাঙলা সমেত উত্তর ভারতের ভাষাসমূহ) এবং ইওরোপীয় ভাষাগুলো আসলে একে অপরের আত্নীয়; এরা ইন্দো-ইওরোপিয়ান পরিবারের অন্তর্গত। এর অব্যবহিত পরেই ১৮৩৬-৩৮ সালের দিকে জেমস প্রিন্সেপ প্রায় ২০০০ বছর পর সম্রাট অশোকের সময়ের ব্রাহ্মীলিপি পাঠোদ্ধার করেন। অশোক এবং তাঁর সময়কাল নিয়ে পুরোদমে গবেষণা শুরু হয় এরপরই।
গোলাম মুরশিদ রাজা রামমোহন রায়কে (তাঁর) বাঙলার রেনেসাঁন্সের অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। ইওরোপের রেনেসাঁন্সে বহুভাষাবিদ পণ্ডিতেরা বিভিন্ন ভাষার গুরুত্বপূর্ণ কাজ অনুবাদ করে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। রামমোহন রায়কেও তেমনি একটি ভুমিকাতেই দেখেছেন মুরশিদ। তিনি বাঙলা, এবং ইংরেজির পাশাপাশি আরবী, ফার্সি, হিন্দী, সংস্কৃত-এই ভাষাগুলো শিখেছিলেন, এমনকি, বাইবেলের আদি গ্রন্থ (ওল্ড টেস্টামেন্ট) পড়বার জন্য তিনি হিব্রিউও নাকি রপ্ত করেছিলেন। আমার মতো অনেকেরই হয়তো ভীষণ অবাক লাগবে জেনে, ১৮০৩ সালে রামমোহন রায় তাঁর প্রথম যে বইটি প্রকাশ করেন, সেটি তিনি লিখেছিলেন ফার্সি ভাষায় (তুহফাতুল মুয়াহেদিন)। তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের এই বইটির ভূমিকা আবার লিখেছিলেন আরবী ভাষায়।
তুহফাতুল-এর এক যুগ পর ১৮১৫ সালে রামমোহন বেদান্ত গ্রন্থ নামে একটি বই প্রকাশ করেন, যেখানে বেদের সংস্কৃত শ্লোকগুলোর আলোকে হিন্দুধর্মকে একেশ্বরবাদী একটি জীবন বিধান হিসেবে দাঁড় করাতে চেয়েছেন তিনি। বেদ-উপনিষদের বাঙলা অনুবাদ এর আগে খুব একটা প্রচলিত ছিলো না সম্ভবত, ফলে বেদের দর্শন ও শিক্ষাও সাধারণ্যের অবোধ্য ছিলো। রামমোহন রায় নিজের ব্যাখ্যা সহ সহজ ভাষায় এই অনুবাদকর্মটি সম্পন্ন করেন। একেশ্বরবাদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি এরপর একে একে কেনোপনিষৎ (১৮১৬), ঈশোপনিষৎ (১৮১৬), কঠোপনিষৎ (১৮১৭), মাণ্ডূক্যোপনিষৎ (১৮১৭), গায়ত্রীর অর্থ (১৮১৮), মুণ্ডকোপনিষৎ (১৮১৯) ইত্যাদি সংস্কৃত গ্রন্থগুলো বাঙলায় অনুবাদ করে প্রকাশ করেন। রক্ষণশীল হিন্দু পণ্ডিতদের সঙ্গেও তিনি নিয়মিত বিতর্কে নামতেন। এসবের বাইরে তিনি বাঙলা ভাষার ব্যাকরণ নিয়েও গ্রন্থ প্রকাশ করেন গৌড়ীয় ব্যাকরণ নামে। রামমোহন রায়ের এই কীর্তিগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে গোলাম মুরশিদ তাঁকে ইটালীয় হিউম্যানিস্টদের সমান্তরালে রেখেছেন, যাঁরা কী না “মানুষ” পরিচয়টিকে ধর্মীয় ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে রেখেছিলেন।
ইটালীয় হিউম্যানিস্টদের সাথে এই সাদৃশ্য মুরশিদ টেনেছেন আরো দুজন বাঙালি সমাজ সংস্কারকের ক্ষেত্রেওঃ রাধাকান্ত দেব, এবং কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়। দুজনই সংস্কৃত ভাষার চর্চা করেছেন, এবং ভারতীয় প্রাচীন জ্ঞান পুণোরোদ্ধারে ভূমিকা রেখেছেন। রাধাকান্ত দেবের শব্দকল্পদ্রুম, এবং কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদ্যাকল্পদ্রুম তাঁদের অন্যতম অবদান। এছাড়া অক্ষয়কুমার দত্ত ভারতবর্ষের বিভিন্ন উপাসক সম্প্রদায়কে নিয়ে গবেষণামূলক কাজ করে গেছেন। বাঙালি সংস্কৃত পণ্ডিতদের মাঝে সবচেয়ে বড় নাম সম্ভবত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি প্রাচীন শাস্ত্র ও সাহিত্যের পাঠোদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন, বিশেষত একই গ্রন্থের কয়েকটি করে পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ করে সেগুলোর চুলচেরা বিশ্লেষণ করেন। তাঁর বিশ্লেষণী ক্ষমতার একটি উদাহরণ মুরশিদ দিয়েছেনঃ কালিদাস রচিত মেঘদূত সম্পাদনার সময় বিদ্যাসাগর ৩৭টি শ্লোক চিহ্নিত করেন যেগুলোকে তিনি কালিদাসের রচিত নয় বলে সিদ্ধান্ত দেন। পরবর্তীতে কাশ্মীরে মেঘদূত-এর একটি প্রাচীনতর পাণ্ডুলিপি উদ্ধার হলে আবিষ্কৃত হয় সেখানে সে ৩৭টি শ্লোক ছিলো না।
ব্রিটিশদের গড়া এশিয়াটিক সোসাইটিতে অনেক বাঙালি পণ্ডিতেরাও কাজ করেছেন। মাইকেল মধূসুদন দত্তের বন্ধু রাজেন্দ্রলাল মিত্র তাঁদের একজন। লুপ্ত বৌদ্ধশাস্ত্র এবং সাহিত্য পুণোরোদ্ধারে তিনি বড় ভূমিকা রেখেছেন। রাজেন্দ্রলাল ১৮৫৩ সালে বিবিধার্থ সংগ্রহ নামে একটি পত্রিকা চালু করেন যেখানে তাঁর গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করতেন। মাইকেল তাঁর প্রথম কাব্য তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য এই পত্রিকাতেই বেনামে প্রকাশ করেন। এই কীর্তিমান মানুষদের প্রচেষ্টায় ১৮৩০ থেকে ১৮৫০ সালের ভেতর প্রাচীন ভারতবর্ষ সম্পর্কে জানবার ব্যাপারে একটি আগ্রহ গণমানুষের ভেতর জন্ম নেয় বলে মুরশিদ মন্তব্য করেছেন।
সমাজ সংস্কারের অন্যতম প্রধান শর্ত ধর্মের সংস্কার। কার্যত ধর্ম-সংস্কার না করে সমাজের সংস্কার সম্ভব নয়। বঙ্গদেশে ধর্ম-সংস্কারের আন্দোলনটি শুরু হয় রামমোহন রায়ের হাত ধরে। তিনি পৌত্তলিকতা বর্জিত একেশ্বরবাদী একটি সমাজ গঠন করতে চেয়েছিলেন, যেটিকে আমরা আজ ব্রাহ্মসমাজ নামে জানি। এ সমাজের ব্রহ্মসভাতে শুদ্রদের বেদ শোনার অধিকার ছিলো, যদিও প্রচলিত লোকাচার অনুযায়ী শুদ্ররা বেদ শুনতে পারতেন না, তা নিষিদ্ধ ছিলো। তবে এ সমাজ পুরোপুরি বিকাশ লাভ করবার আগেই রামমোহন রায় বিলেতে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর এ সমাজের হাল ধরেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। রামমোহন চেয়েছিলেন আচার বিবর্জিত একটি একেশ্বরবাদী সমাজ গড়তে, দেবেন্দ্রনাথ একে আচার-অনুষ্ঠানে বাঁধা একটি ধর্মীয় রূপ দেন। এই ধর্মটির নাম তিনি দেন ব্রাহ্মধর্ম। প্রচলিত হিন্দুধর্মকে তিনি এতটাই সংস্কার করেন, সে সময়ে কেউ ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করলে হিন্দুসমাজে তার জাত চলে যেতো। ১৮৪৩ সালে দেবেন্দ্রনাথ রাজনারায়ণ বসুকে সাথে নিয়ে বিস্কিট খেয়ে, আর মদ্য পান করে হিন্দুধর্ম চিরতরে ত্যাগ করেন।
যে সময়টায় দেবেন্দ্রনাথ এই ধর্ম সংস্কারে নেমেছেন, সে সময়ে ধর্মবাদীরা বিভিন্ন ছেলেমানুষী ছদ্ম-বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়ে তাঁদের ধর্মটির শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করতে চেয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ মুরশিদ উল্লেখ করেছেন এক নেতার কথা যিনি প্রচার করতেন ইংরেজি গডকে উল্টো করে লিখলে তা ডগ হয়, কিন্তু হিন্দুদের অবতার নন্দনন্দনকে উল্টো করে লিখলে নন্দনন্দনই থাকে (অতএব, আর কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবেন... )। মুরশিদ উল্লেখ করেছেন, এই ধার্মিকেরা নাকি দাবী করতেন “বেদে সব আছে”, অর্থাৎ কী না, আধুনিক যুগে বিজ্ঞানের অবদান যা কিছু আমরা আমাদের চারপাশে দেখতে পাই, তার সবই হাজার হাজার বছর আগে বেদে বলা হয়ে গেছে, পশ্চিমারা এখন এই বেদ পড়েই এই সব কিছুর সন্ধান পেয়েছেন। বাঙলাদেশের মুসলমানেরা এমন একটি বয়ানের সাথে খুব ভালোভাবে পরিচিত; মসজিদে মসজিদে এমন একটি খুৎবা-ই তাঁরা ঈমাম সাহেবের কাছ থেকে শুনে আসেনঃ এ জগতের সমস্ত বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের কথা ১৪০০ বছর আগেই কোরানে এসেছে।। আমেরিকায় খ্রীষ্টানেরা ঠিক একই কথাটি চার্চে শুনে আসেন ফাদারদের কাছ থেকে, বাইবেলকে ঘিরে।
গোঁড়া ধর্মবাদীদের নানান ছদ্ম-বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় আস্থা হারিয়ে বাঙলার তরুণ সমাজের কেউ কেউ সে সময়ে খ্রীষ্টধর্ম গ্রহণ করেন। তাঁদের ধারণা হয়েছিলো খ্রীষ্টধর্মই আধুনিকতার প্রথম ধাপ। কুলীন ব্রাহ্মণ কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৩২ সালে খ্রীষ্টধর্মের দীক্ষা নিয়ে বেশ সাড়া ফেলে দেন। প্রায় একই সময়ে মধুসূদন দত্ত, লালবিহারী দে, কৃষ্ণদাস পাল, হিন্দু কলেজের ছাত্র মহেশচন্দ্র ঘোষ, এবং আনন্দচন্দ্র মজুমদার প্রমুখ ধর্ম পাল্টে খ্রীষ্টান হন। তবে হিন্দু ধর্ম ছেড়ে আসায় সমাজ, এবং সম্পত্তিচ্যুত হতে হতো বলে ধর্মান্তরের ব্যাপারটি সম্ভবত খুব আকর্ষণীয় হয়ে ওঠেনি। ধর্মান্তর ছাড়াও সমাজ সংস্কারের অন্যান্য যে দিকগুলো ছিলো সেদিকে বাঙলার মুসলমানেরা আগ্রহী হননি মোটেই। রেনেসাঁন্স-এর আলোতে আগ্রহী হবার জন্য যে শিক্ষার প্রয়োজন সেটিই তাঁদের ছিলো না বলে মুরশিদ মন্তব্য করেছেন।
রামমোহন রায় যে তাঁর লেখালেখির মাধ্যমে ধর্ম এবং সমাজের সংস্কার করতে চেয়েছেন সে তো কিছুটা একটু আগেই জানতে পেলাম। মুরশিদ জানাচ্ছেন তাঁর ধর্ম সংস্কার শুধু হিন্দুধর্মের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, তিনি দেশী খ্রীষ্টানদের পৌত্তলিকতার বিপক্ষেও নাকি লড়াই চালিয়েছেন; পত্রিকা এবং পুস্তিকায় বিভিন্ন লেখার মাধ্যমে খ্রীষ্টান মিশনারিদের সঙ্গে ধর্মীয় নানান কুসংস্কার নিয়ে বিতর্কে নেমেছেন। শুধু ধর্ম সংস্কারই নয়, বাঙলার নারীদের অবস্থানের উন্নতির জন্যও কাজ করে গেছেন রামমোহন; সতীদাহ প্রথা রদ করবার উদ্দেশ্যে লণ্ডনের আইনসভায় বিতর্ক করতে যাওয়াটাই তাঁর বিলেতে যাবার অন্যতম কারণ ছিলো বলে মুরশিদ রায় দিয়েছেন।
নারীকল্যাণ প্রসঙ্গে অক্ষয়কুমার দত্তের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন মুরশিদ; তিনি ১৮৪২ সালে বিদ্যাদর্শন নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন, যেটিকে মুরশিদ সমসাময়িক অন্য যেকোন পত্রিকার চেয়ে অনেক বেশি নারীবান্ধব হিসেবে দেখেছেন। বাল্যবিবাহের দোষ, বালবিধবাদের বিবাহের ঔচিত্য, স্ত্রীশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা, নারীদের “কিঞ্চিৎ” স্বাধীনতা-ইত্যাদি বিষয়ে এই পত্রিকায় নিয়মিত লেখা প্রকাশ হতো। “স্ত্রীলোকের স্বাধীনতা” কথাটিও নাকি অক্ষয়কুমার দত্তই প্রথম ব্যবহার করেন সবার আগে। তিনি তত্ত্ববোধিনী নামে একটি ধর্মীয় পত্রিকা পরিচালনা করতেন, কিন্তু প্রার্থনার ফল যে শূণ্য, তা চমৎকার একটি গাণিতিক সমীকরণ দিয়ে প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর সমীকরণটি ছিলোঃ
পরিশ্রম = শস্য। পরিশ্রম + প্রার্থনা = শস্য। তাই, প্রার্থনা = ০
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
মেঘনাদবধ কাব্য
রামায়ণ
শর্মিষ্ঠা
রাজস্থান ইতিবৃত্ত
কৃষ্ণকুমারী
ইফেজেনিয়া অ্যাট আউলিস
বৃত্রসংহার কাব্য
রৈবতক
কুরুক্ষেত্র
প্রভাস
সমাচারদর্পণ
সমাচারচন্দ্রিকা
নবনারী
কুমুদিনীচরিত
জীবানালেখ্য
মুক্তকেশীর জীবনচরিত
ইতিবৃত্ত
আমার কথা
ইংলণ্ডে বঙ্গমহিলা