Ratings1
Average rating5
ঊনলৌকিক দেখা আর বানিয়ালুলু পড়ার পর এই ব্যক্তির মস্তিষ্ক আর লেখার হাত—দুটোই যে সমপরিমাণ ইন্ট্রেস্টিং এটা বুঝতে বাকি থাকে না। এই লোকের মস্তিষ্কের শিরা-উপশিরায় কল্পনারা কিভাবে ঘুরে বেড়ায় সেটার কৌতূহল দমানো, যারপরনাই দুঃসাধ্য। এইখানা নিয়েও অবসেশন না ফুরাইবার নয়, অদ্ভুত সব গল্পের গ্যালারি (না অ্যালবাম?)
কয়েক গল্প বিষাদমাখা, আবার গুটিকয়েক সুখী অনুভূতির সমাহার। খানিক থামতে হয় প্রত্যেক গল্পের শেষেই।
সুরাইয়া নিয়ে যতটুকুন এক্সপেক্টেশন ছিলো, পড়া শেষে তা বানিয়ালুলুকে ছাড়ায়নি কিন্তু স্টিল একটি আনন্দদায়ক রিডিংয়ের জন্য ওর্থি। গল্পগুলো পড়তে যেনো লাগে অন্যরকম; অদ্ভুত ম্যাজিক রিয়েলিজমের ফ্লেভারসমেত, একমলাটে কিম্ভূতকিমাকার সব গল্পের উপস্থিতি।
আমার সবচে প্রিয়:
সুরাইয়া: নামগল্প যেটায় কাকতালীয়ভাবে একরকমের ভাষা শিখে দুজনের আধা রোম্যান্টিক স্টোরি শুরু হয় (কিংবা শেষ হয়)
চেইন ক্যাফে: যেখানে চক্রবৃদ্ধি হারে প্রেমঘটিত বিষাদ উৎপন্ন হতে থাকে।
আর মরিবার হলো তার স্বাদ, সর্বশেষ গল্প।
বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার, পাফার ফিশের মৃত্যুকামী রেসিপি এবং মধ্যরাতে একটা দোতলা বাসের সিটে থ্যাঁতলানো, রক্তাক্ত অবস্থায় মারা যাওয়ার মতোন রোমাঞ্চকর এবং সুস্বাদু ঘটনার বিবরণ।
৪.৫/৫