Ratings29
Average rating3.7
My soul softly flaps in the little Pentecost flame with you, like the peace of fucking. We fucked a flame into being. Even the flowers are fucked into being, between sun and earth.
সেরকম ভাবতে গেলে লেডি চ্যাটার্লিজ লাভার একটা সফ্ট-কোর উপন্যাস। যৌন ঘটনার খোলামেলা বর্ণনার অভাব নেই এই বইতে। যৌনতাবাচক বিভিন্ন শব্দ— fuck, cunt, phallus, penis — এসবের উল্লেখ রয়েছে অহরহ। আজ থেকে ৯৫ বছর আগে এরকম কিছু যে লেখা হয়েছে, এবং এইরকম সোজাসাপ্টাভাবে লেখা হয়েছে, সেটা ভাবতে খানিকটা অবাক লাগে বৈকি। ১৯৬০ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডে নিষিদ্ধ ছিল বইটা। ত্রিশের দশকে এই বইকে নিয়ে সাহিত্যজগৎ যখন তোলপাড়, ইংল্যান্ডের রাজা পঞ্চম জর্জের বউ রানি মেরি বইটা লুকিয়ে পড়ার জোগাড় করলে স্বয়ং রাজা সেটা কেড়ে নিয়ে নেন। সাধারণ ধর-তক্তা-মার-পেরেক জাতীয় পর্নোগ্রাফিক উপন্যাস হলে রাজামশাই বোধহয় কেড়ে নিতেন না। তার মানে, যৌনতার বাইরেও কিছু একটা অন্য ব্যাপার আছে এই উপন্যাসে। কী ব্যাপার সেটা?
মেয়েদের স্রেফ যৌনবস্তু হিসেবে দেখতে নিষেধ করতে-করতে, কিংবা নারীর সম্ভ্রম/ আব্রু/ ইজ্জত ইত্যাদি রক্ষায় সদা তৎপর থাকতে-থাকতে, আমাদের চারপাশের “পলিটিক্যালি কারেক্ট” সমাজ মাঝে মাঝে একটা দরকারি কথা ভুলে মেরে দ্যায়। সেটা হলো, মেয়েরাও যৌনকর্ম ভালোবাসে। পুরুষদের মতোই দিব্যি ভালোবাসে। নারীর যৌনতাবোধের পরিভাষা এবং অভিব্যক্তি হয়তো পুরুষের চেয়ে আলাদা, কিন্তু রানিসাহেবাকে এই বইটা পড়তে দেখে ইংল্যান্ডের রাজার ভয় পাওয়ার কারণ বোধহয় এটাই যে, এই গল্পের নায়িকা নিজের প্রাপ্য যৌন-আনন্দকে হাত পেতে চেয়ে নিয়েছিল। গল্পের শুরুতে, কপালদোষে মেয়েটা মহাবিপাকে পড়েছিল। ভালোবেসে যাকে বিয়ে করেছে, যুদ্ধ করতে গিয়ে সেই মানুষটা পঙ্গু হয়ে ফেরত এসেছে। প্রথম প্রথম মেয়েটি নিজের দৈহিক চাহিদাকে চেপে রাখার অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু শেষমেশ আর পারেনি। বুভুক্ষুর মতো খাদ্যের সন্ধানে বেরিয়েছে, এবং নিজের খাবার নিজেই খুঁজে নিয়েছে। সে ছিল বিরিয়ানি খাওয়া পরিবারের স্ত্রী। বিরিয়ানি পায়নি, ডালভাত পেয়েছে। সেটাকেই সে পরম যত্ন করে খেয়েছে। বইটিকে নিয়ে গুরুজনদের আপত্তি এখানেই। মেয়েদের যৌনহ্যাংলামি করা একান্তই নিষেধ। এইসব “খাওয়াদাওয়া” তো একান্তই পুরুষালি কর্ম, তাইনা?
উপন্যাসটিতে কিছু ত্রুটি আছে। গল্পের ভাষা এবং গতি অসমান (যদিও বেশিরভাগ জায়গাতেই লরেন্সের গদ্য এবং পরিস্থিতি-বর্ণনা অতি চমৎকার)। গল্পের মধ্যে কিছু আর্থ-সামাজিক জ্ঞান দিয়েছেন লেখক, যেগুলো বিরক্তিকর মনে হয়েছে। উপন্যাসের চরিত্রগঠন ও ঘটনানির্মাণে কিছু কিছু গতানুগতিকতার ছোঁয়া আছে। যৌনতা ক্যানো মানুষের জীবনের প্রয়োজনীয় অংশ, সেই ব্যাপারে তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করার হালকা চেষ্টা করা হয়েছে, যেটার দরকার ছিল না। বাকি সব জৈবিক কাজের জন্যে যেমন অজুহাত খোঁজার দরকার হয়না, এই কাজেও দরকার নেই। কিন্তু তবু, দোষ ত্রুটি সত্ত্বেও এই উপন্যাসটি অনেক দরকারি কথা বলেছে। পাঠকের দিকে সরাসরি তাকিয়ে বলেছে। শত প্রেমের গান, শত প্রেমের কবিতা, শত গোলাপের গুচ্ছ, হাতে হাত এবং চোখে চোখ রেখে অতিবাহিত করা শত শত ঘন্টা বেকার হয়ে যায়, ফালতু হয়ে যায়, যদি কামনা খুঁজে না পায় তার বাঞ্ছিত সিংহদুয়ার। রম্য, মার্জিত এবং শিল্পসম্মত সফিস্টিকেশন ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যায়, যদি না আমার তীব্র জলস্রোত আছড়ে গিয়ে না পড়ে তোমার আরণ্যক উপত্যকায়। আর কিছু না হোক, খুব সোচ্চারভাবে এই উপন্যাসে এই জরুরি কথাটা বলা হয়েছে। আর এই জন্যেই, অনেক বদনাম বহন করেও, উপন্যাসটা টিকে গেছে এবং আরো টিকে যাবে, বহুদিন।
বৈরাগ্যসাধনে মুক্তি, সে আমার নয়।অসংখ্যবন্ধন-মাঝে মহানন্দময়লভিব মুক্তির স্বাদ। এই বসুধারমৃত্তিকার পাত্রখানি ভরি বারম্বারতোমার অমৃত ঢালি দিবে অবিরতনানাবর্ণগন্ধময়। প্রদীপের মতোসমস্ত সংসার মোর লক্ষ বর্তিকায়জ্বালায়ে তুলিবে আলো তোমারি শিখায়তোমার মন্দির-মাঝে।
Amen.
.