Ratings1
Average rating4
আর. কে. নারায়ণের লেখা গল্প-উপন্যাস নয়, তাঁর এই আত্মজীবনীটাই প্রথম পড়েছিলাম আমি। চেন্নাই, আগে যে-শহরের নাম ছিলো মাদ্রাজ, যে-শহরে তাঁর ছোটোবেলার অনেকটা অংশ কেটেছিলো, সেই শহরে বসেই পড়েছিলাম বইটা। এমন কাণ্ড ক্যানো করেছিলাম জানিনা। অন্য সব লেখা বাদ দিয়ে সবার আগে লেখকের আত্মজীবনী কে পড়ে?
এইজন্যে যদিও আফসোস হয়নি কখনও। তাঁর উপন্যাস কিংবা গল্প পড়ার সময় মিলিয়ে মিলিয়ে দেখেছি, অনেক উপাদানই নিজের জীবন থেকে নিয়েছেন তিনি। মনে হয়েছে, একজন লেখকের মূল অস্ত্র কল্পনাশক্তি নয়, তাঁর অভিজ্ঞতা। নারায়ণ নিজের জীবনের কাহিনিও শুনিয়েছেন স্বকীয় উপন্যাসের আদলেই। নিচু তারে বাঁধা সরস স্বর। চমক দেওয়ার প্রবণতা নেই একটুও। জীবনের অবশ্যম্ভাবী বিষাদ-বেদনা সেই স্বরের তাল কাটতে পারেনি পুরোপুরি।
প্রিয় মানুষদের আত্মজীবনী পড়তে ভালো লাগে। তাঁদের মতো হতে হবে, তাঁদের জীবন থেকে শিক্ষা নিতে হবে, এইসব আদর্শ-ফাদর্শগত কারণে নয়। এমনিই। কেমন ছিলো সময়টা। কেমন ছিলো পারিপার্শ্বিক সমাজ। মানুষ। বন্ধুবান্ধব। আলো জল বাতাস। বই পড়তে ভালোবাসতেন? কী কী বই তাঁর জীবন পাল্টে দিয়েছে? অন্তর্মুখী ছিলেন? নারায়ণের সহোদর আর. কে. লক্ষ্মণ আমার খুব প্রিয় কার্টুনিস্ট। দুই ভাইই নিজ নিজ সৃষ্টিক্ষেত্রে একইরকম খ্যাতি অর্জন করেছেন। কীভাবে গড়ে উঠেছিলো তাঁর সাহিত্যচেতনা? সাহিত্যসৃষ্টির উদ্দীপনা? কীভাবে তৈরি হয় একটা উপন্যাস? কীভাবে সামলেছেন খ্যাতিকে? স্ত্রীর মৃত্যুর পরে অসহ্য মানসিক যন্ত্রণা থেকে মাথা তুলে কীভাবে আবার শুরু করেছিলেন লেখালিখি?