Ratings8
Average rating3.3
“কিছু কিছু বইকে চিরশান্তির বিশ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত।”
স্মৃতিভ্রংশ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগেই মার্কেজ এই উপন্যাসটির বিস্তারিত পরিকল্পনা করেছিলেন। কিছুটা অংশ লিখেছিলেন। প্রকাশ করেছিলেন এখানে সেখানে। কিন্তু তারপর তিনি ভুলে গেলেন উপন্যাসের পূর্ব-পরিকল্পিত সামগ্রিক প্লট। বারবার চেষ্টা করেও শেষ করতে পারলেন না লেখাটা। অবশেষে হাল ছেড়ে দিলেন। চেয়েছিলেন বইয়ের পাণ্ডুলিপিটা ধ্বংস করে ফেলা হোক। কিন্তু তাঁর সন্তানরা বাপের অন্তিম ইচ্ছের মর্যাদা রাখলে না। উল্টে বড়ো গলায় বললে, “ছেলেপিলের কাজই হলো বাপের কথা অগ্রাহ্য করা” (মন্তব্যটা বানিয়ে বলছি না, সূত্র: বইটির উইকিপিডিয়া এন্ট্রি)।
সদ্য প্রকাশিত হয়েছে অসম্পূর্ণ এই উপন্যাসটি। উপন্যাসের দৈর্ঘ্য নিতান্তই ছোটো। অসম্পূর্ণ হলেও গল্পের শেষ অংশে পরিপূর্ণতার একটা আভাস খুঁজে পেয়েছি। এভাবেও সমাপ্তি ভেবে নেওয়া যেতেই পারে। একজন মধ্যবয়সি নারীর গল্প, যিনি নিজের বহুগামী জীবনকে যাপন করতে গিয়ে হঠাৎ আবিষ্কার করে ফেলেন একটি চমকপ্রদ গোপন তথ্য। কাহিনির পটভূমি খুবই সাধারণ। অল্প কয়েকটি চরিত্র। মার্কেজের ম্যাজিকের চিহ্ন থাকলেও থাকতে পারে লেখাতে, তবে তা যৎসামান্য। তবু কী যেন একটা অনাস্বাদিত পিছুটান রয়েছে। অবশ্য, মার্কেজের লেখা পছন্দ করি বলে এটা আমার মনের ভুলও হতে পারে।