Ratings1
Average rating4
We don't have a description for this book yet. You can help out the author by adding a description.
Reviews with the most likes.
একটা বিশেষ দরকারে এই বইটা খুঁটিয়ে পড়তে হয়েছিল। সেই কাজ মিটেছে, কিন্তু আমার ব্যক্তিগত জীবনে বইটার প্রয়োজন খারিজ হয়ে যায়নি। শুধু আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে নয়, বোধহয় পৃথিবীর কোনো দেশেই ইশকুলের পড়াশুনায় মনোবিদ্যা সংক্রান্ত কিছুই শেখানো হয়না। অথচ শেখানো উচিত। ইতিহাস, ভূগোল, গণিত, বিজ্ঞানের মতোই বয়ঃসন্ধির সময় থেকেই ছেলেমেয়েদের মনোবিদ্যার পাঠ দেওয়াটা যত দিন যাচ্ছে তত বেশি জরুরি হয়ে উঠছে। “নিউট্রন বোমা বোঝ, মানুষ বোঝ না!”
মানুষের মন তো ব্রহ্মাণ্ডের মতো রহস্যময়। বিষয় হিসেবে বিজ্ঞানের অন্যান্য প্রতিষ্ঠিত শাখার তুলনায় সাইকোলজি এখনও বেশ পিছিয়ে রয়েছে। বিভিন্ন তত্ত্ব এবং মতামতের পারস্পরিক বাদানুবাদের এখনও মীমাংসা হয়নি। কিন্তু মনোবিদ্যা যে আসলে আজগুবি ভেল্কিবাজির চর্চা নয় (যেমনটা আজ থেকে শ'খানেক বছর আগেও মনে করা হতো), বাকি সব বিজ্ঞান-বিষয়ের মতোই এই বিষয়ের সিদ্ধান্তগুলোকে যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কষ্টিপাথরে যাচাই করে তবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, এই ব্যাপারটা আজকের দিনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বিষয় হিসেবে মনোবিদ্যা অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক। কতো কিসিমের মানুষই না আছে এই পৃথিবীতে। আর তাদের কতো কিসিমের মন। অন্য মানুষের কথা বাদ দিলাম, আমার নিজের মনের ভিতরেই কতোরকমের টানাপোড়েন, বৈসাদৃশ্য, বৈপরীত্য, পাগলামি, দুর্বোধ্যতা, দ্বিচারিতা। মাঝে মাঝে মনে হয়, অন্যকে চিনবো কীভাবে, নিজেকেই তো ভালোভাবে চিনতে পারলাম না এখনও। আমি নিজেই নিজের কাছে সবচেয়ে বেশি অচেনা। মানুষের মনের পাকদন্ডীর এই জটিল রুটম্যাপকে মনোবিজ্ঞানীরা ধীরে ধীরে কব্জা করার চেষ্টা করছেন। খুব সামান্যই পেরেছেন, কিন্তু যতটুকু পেরেছেন, তাতেই আশ্চর্য হতে হয়!
কেউ যদি আধুনিক মনোবিদ্যার প্রাথমিক ধারণা এবং সমকালীন অগ্রগতির ব্যাপারে জানতে চায়, চমৎকার প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা এই বইটা তাদের খুব কাজে লাগবে। এই বই পড়ার পরে সত্যি সত্যি আমার মনে হয়েছে, ইশ আগে যদি টের পেতাম, দরকার হলে বাড়িতে ঝগড়া করে হলেও এই বিষয়টা নিয়েই পড়াশুনা করতাম। অবশ্য ঝগড়া করেও কোনো লাভ হতো না। চিৎকার চ্যাঁচামেচি তো করেছিলাম যথেষ্ট