সেমি-পপ সায়েন্স। মানে একটু ম্যাথ জানা থাকলে ভালো হয়। খানিকটা ‘ইনফিনিট পাওয়ার' এর মত। তবে এখানে ম্যাথ একটু কম। মানুষের জ্ঞানরাজ্যে শুন্যের আবির্ভাব থেকে তার প্রতি সমীহে কেটে যাওয়া কয়েকশো বছরের গল্প। শুধু অংকের না, ধর্মের, সমাজের, দর্শন ও বিজ্ঞানের গল্প।
দুটো নতুন ভাবনার উদয় হলো।
একটা হচ্ছে মুসলিমরা যে খৃষ্টানদের বাইবেল ফ্যাব্রিকেশনের জন্য দায়ী করে তা একেবারে ফেলে দেওয়ার নয়। অ্যারিস্টটলের কসমোলজিকে বাইবেলের সাথে মেলাতে গোঁজামিল দিতে হয়েছে। নবীকেন্দ্রিক না হলেও ফ্যাব্রিকেশন আছে।
আরেকটা হচ্ছে ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট সেই ডার্ক এজে যে দুর্দান্ত কাজ করেছে তারপর ক্ষণে ক্ষণে স্পার্ক ছাড়া বিজ্ঞানে নিজেদের যে দীনতা দেখায় তার কারন অনুসন্ধানে ইচ্ছুক। কেউ এই বিষয়ে কিছু বলতে পারলে বা পড়ার জিনিসের সন্ধান দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।
গালিভার'স ট্রাভেলস ছোটবেলায় যখন পড়েছি, শিশুপাঠ্য হিসেবে পড়েছি অর্থাৎ চারটি অভিযানের প্রথম দুটি। কয়েকদিন আগে ভারি ভারি বই থেকে হালকা কিছু পড়তে গুডরিডসের স্যাটায়ার জঁরায় ঢুঁ দিলাম। দেখি, গালিভার্স ট্রাভেলস। আষাঢ়ে গল্প বলা যায়, কিন্তু স্যাটায়ার! তো ভাবলাম, এমনিও পুরোটা পড়িনি, শুরু করা যাক!
ফিকশনের রিভিউয়ের বড় সমস্যা হচ্ছে স্পয়লার দেওয়ার সম্ভাবনা। কোনো কাহিনী না বলেও এটুকু বলা যায় বইয়ের তৃতীয় যাত্রাটি আমার সবচেয়ে পছন্দের। প্লেটোর ফিলোসফার কিং ও তার রাজ্যের একটা ভালো ক্যারিকেচার পাওয়া যায়।
তা বাদে সারা বইতে রাজনীতি, অর্থনীতি, ধর্ম ও বিচারব্যবস্থা এবং মোটের ওপর মানুষের বহুবিধ হিপোক্রেসী নিয়ে বেশ ভালোরকমের স্যাটায়ার আছে।
Rating: 3.5/5
অথোরিটিটিভ অনুবাদ বলতে যা বোঝায়, জর্জ এলিয়টের অনুবাদটি তা না। আবার এও না যে এলিয়ট নিজের মত করে অনুবাদ করে স্পিনোজাকে হারিয়ে ফেলেছেন। সে যাই হোক, এটা ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুবাদ। আর যারা এটি প্রকাশ করেছেন সদ্য তারা যথেষ্ট টীকার মাধ্যমে অথোরিটিটিভ অনুবাদের সাথে পার্থক্য অনেকটাই কমিয়ে এনেছেন। বইয়ের ভূমিকাটা বড় এবং অপ্রয়োজনীয় মনে হলেও আসলে কাজটাকে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে সাহায্য করবে।
স্পিনোজা'র এথিক্সের মূলে তার মেটাফিজিক্স। সেই মেটা ফিজিক্স গড এবং নেচারের মধ্যে পার্থক্য করা বেশ দুরূহ, যদিও পার্থক্য বিদ্যমান। মোটের ওপর স্পিনোজার গড হচ্ছে সেই সয়ম্ভূ সত্ত্বা যার ক্ষমতা, ব্যাপ্তি সমস্তকিছু অপরিসীম। সে সমস্ত গুণের অধিকারই শুধু না, তার গুণাতীত কিছু নাই। তাকে ব্যাতীত কোনো বাস্তবতাও নাই। বস্তুত, আমাদের সকল বাস্তবতা তার বাস্তবতার বিভিন্নরূপ। সেই অর্থে ধরলে আমাদের সবকিছুই মায়া।
স্পিনোজার মতে গড পারফেক্ট বলা চলে তখনই যখন সে সর্বশক্তিমান। অর্থাৎ সে যা চায় তা করার মাধ্যমেই তার পারফেক্টনেস প্রমাণিত হয়। এতএব সে যা যা করতে পারে তার চুলপরিমাণ কম করার সুযোগ তার নেই। তাতে তার ইশ্বরত্বের হানি ঘটে। সেদিক থেকে স্পিনোজার কসমোলজি পুরোপুরি ডিটারমিনিস্টিক। এবং এই ডিটারমিনিস্টিক নেচার একই সাথে গডের ক্ষমতা ও লিমিটেশন তৈরী করে। প্রথাগত আব্রাহামিক ধর্মের থেকে স্পিনোজার থিওলজির পার্থক্য মোটামুটি এইখানে সবচেয়ে প্রবল।
তাছাড়া স্পিনোজার গড অ্যান্থ্রোমরফিক না। সে কাউকে ভালোও বাসে না, ঘৃণাও করে না। প্রার্থনাও শোনে না, অস্বীকার করলে রাগও করে না। সে শুধু তার দ্বারা যা কিছু করা সম্ভব সবই করে।
মোটের ওপর আমার যা মনে হয়েছে, স্পিনোজা যেভাবে গডকে দেখে তাতে গড ছাড়াই দিব্যি একটা এথিকস্ দাঁড় করানো যেত। এই অতিরিক্ত কম্প্লিকেশন তার ব্যক্তিগত বিশ্বাসের জন্য হতে পারে।
The novel is a serene one in temperament. I liked Ishiguro's prose and enjoyedthe book very much.
Stevens, as a character is a curious one. He is a hollow man but neither because he lacks intelligence nor sensitivity. His hollowness is a cultivated one. One that he took as a professional quality. Everything happen around him but nothing to him.
নভেল লেঙ্থের সায়েন্স ফিকশন মূলত কম্পিউটার এবং রোবট, মিউট্যান্ট, বা এলিয়েন নিয়ে হয়। তারা মানুষদের মারতে চাচ্ছে বা মানুষ তাদের মারতে চাচ্ছে। তারমধ্যে মাঝেমধ্যে একটু টাইমট্রাভেল, বা জম্বি অ্যাপোক্যালিপ্স... এর এমনকি কমন একটা টেম্প্লেটও আছে।
তো, এই বইয়ে এলিয়েন আছে বটে, স্পয়লার না দেওয়ার স্বার্থে শুধু বলতে চাই, প্রথাগত এলিয়েন না। এবং, তাদের সাথে মানুষের ব্যবহার এত সভ্য যে মানুষকে মানুষ বলেই মনে হয় না।
আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সায়েন্স ফিকশনের অনেকটা ফিকশন আর অল্প একটু বিজ্ঞানের অনুপাতের জায়গায় (এই অনুপাতকে আমি খারাপ মনে করি না। শুধু বলছি এটাই ডমিন্যান্ট।) এখানে গল্প আর বিজ্ঞান মোটামুটি সমান-সমান। এবং কী দুর্দান্ত, ইউনিক একটা গল্প!
শেষ এত থরোলি এনজয় করেছি টেড চিয়াঙের সায়েন্স ফিকশন।
এই বইটা পড়তে গেলে প্রাপ্তমনষ্ক হতে হবে। নাহলে সামাজিকতার দাস হলে এই একবিংশ শতাব্দীতেও আপনি হয়ত বইটাকে পর্নোগ্রাফিক বলে চিহ্নিত করবেন। বইটার প্রাথমিক নাম ছিল ‘টেন্ডারনেস', ওটাই বেশি অ্যাপ্রোপ্রিয়েট ছিল হয়ত।
লরেন্স জীবদ্দশায় ও এবং তার পরেও যথেষ্ট কন্ট্রোভার্সির কেন্দ্রে ছিলেন। কিন্তু, একটা অথেনটিসি আছে লোকটার। আর অথেনটিক এক্সপ্রেশন যেহেতু আর্টের কেন্দ্রে, লরেন্স টিঁকে যাবেন বহুদিন।
This is a pop-science book for sure. But, not only a pop-science book. It is more of an exposition of whatever we have known and deduced through ages about time- in physics, philosophy, psychology, and often in literature.
While it covered a lot of grounds, it's an open-ended book, which is natural because the subject of the book is not in our grasp in totality.
Art is, to me, the most authentic self-expression. Beauty is secondary. Art thrives on our individuality, on our differences. This also implies that art is a mode of living. And how Bashō lived art!
Being a writer myself, I envy Bashō and his time. Yes, it was war-torn medieval Japan. But, people in general are so cincere. Even prostitues used to utter Haikus. More than that people used to remember poems with their context and history which is, in this age only done by experts. They cherished art and artists. Without so much distractions of our era, a person can live on very little and a poet could have been a hermit.
Bashō lived art in that time. He practices Zen. He immersed himself in writings of his predecessors. He preached his way of poetry and lived by his rules with absolute honesty. He tought himself to be one with the nature and when he wrote about nature, he wrote about himself.
And, what did he achieved? To me, Bashō is synonymous with excellence.
নিরীশ্বরবাদীদের জগত বুদ্ধের একটা আলাদা জায়গা আছে। সেই ভাবে বুদ্ধের শিক্ষার সাথে একটা প্রাথমিক পরিচয় ছিল। গত বছর একটু গুরুত্বের সাথে পড়ার ফলে, বিশেষ করে নাগার্জুনের মূলমধ্যমককারিকা পড়ার পড় বৌদ্ধ দর্শনে অনেকটা আগ্রহ জন্মেছিল।
যে জিনিসটা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছিল সেটা হচ্ছে বুদ্ধ একসময় নিজেই কীভাবে দেবতা বনে গেলেন। এরজন্য বৌদ্ধধর্মের ডেভেলপমেন্টের বিষয়ে পড়ার দরকার ছিল। এই বইয়ে হাত দেওয়া সেই কারনে।
প্রথমত, যে জিনিসটা পরিষ্কার হওয়া দরকার সেটা হচ্ছে সিদ্ধার্থ সবার মতই মানুষ। ফলত, তার একটা খুব বড় কৃতিত্ব থাকলেই যে সে সর্বাঙ্গে প্রগতিশীল হবে এমন আশা করা অন্যায়। আসল বুদ্ধ কী বলেছেন সেটা যাচাই করা কঠিন, তবুও বলা যায় জন্মান্তরবাদ বা সমাজে নারীদের অবস্থানবিষয়ক ভাবনাগুলো তিনি প্রশ্ন না করেই নিয়েছেন।
বুদ্ধের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব, আমার মতে, একটি দার্শনিক সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠা। যেখানে বুদ্ধ বলেছেন বলে না, বরং যাচাই করে দেখতে বলা হয়েছে। তার ফলাফল কিন্তু দারুণ! আমরা যখন নাগার্জুনের দ্বান্দ্বিকতা পড়ি, আমরা দেখতে পাই মূল বুদ্ধের শিক্ষা থেকে সেটা কতদূর এগিয়ে গিয়েছে।
আমরা সহজেই বুঝতে পারছি যে বুদ্ধের পথে জ্ঞান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আরেকটা ভালো বিষয় হচ্ছে প্রেম (compassion) একইরকম গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর দিকে তাকালে যতরকম সমস্যা দেখা যায় তার মূলে আসলে এই দুটোরই অভাব।
বই হিসেবে এটা নাতিদীর্ঘ বলা চলে। তবে এর পিছনে লেখকের পড়াশোনা প্রচুর।
আমি শুনেছি এই বইটার আর জিদের ‘দি ইমমোরালিস্ট' পরপর পড়াটা শ্রেয়। সে পড়বো। তবে পরের বইটা দিয়ে প্রভাবিত হওয়ার আগে এই বইটার একক মূল্যায়ন করতে চাই।
বইটা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত বোঝা কঠিন যে বইটা আদ্যপান্ত প্রেমের উপন্যাস। গল্পটা না বলে ফেলে বলতে গেলে মোটের ওপর বক্তব্যটা এরকম:
আধুনিক মানুষের যে ভিক্টোরিয়ান প্রেম, তার সাথে শরীর ও মনের বাইরে যোগ হয়েছে ভার্চ্যু নামের এক বস্তু। তার সাথে সমাজ-সাপেক্ষে সামাজিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক লটবহর। তাতে বিকারের সম্ভাবনা থাকে। বিশেষত, প্রেমের প্রবৃত্তিকে সেইসব লটবহর যখন জায়গা করে না। সেই বিকারের শেষে এক ভয়াবহ শুন্যতা থাকে।
পড়তে গিয়ে আরেকটা প্রায় অবান্তর অবজার্ভেশান হচ্ছে ক্ল্যাসিক উপন্যাস, তার টেলিফোন-ইন্টারনেটহীন যুগের মতই একধরণের ধীরগতিতে চলে। এটা লেখার ধীরগতি না, মানসিকতার ধীরগতি। তাতে, ন্যারেটিভের ভেতর ব্রিদিং স্পেস থাকে। একটু বুক ভরে শ্বাস নিয়ে ভাবা যায়। অটো-ডিজ্যাপেয়ারিং মেসেজিঙের যুগে সেটা কম পাওনা না।
This book is very concentrated in its form. Myriad ideas got traversed simultaneously— some from historical incidents, some are pure stories, and some are stories about stories— all intertwined to craft a truly musical offering.
So, what this book is about? Art, literature, music, war, destruction, wastage of human life... But, above all, this is a book about hope, about hope and goodness that doesn't wither. It is a book about love that perseveres amidst the toughest of times.
More hunger will come, and more cold and more death. But there are red flowers. This is food for the eyes. Knowing this, every morning will be a child from now on. And every night a womb. With such knowledge, no one can lose a war.
মানুষ যত সিভিলাইজড হয় (বা নিজের মধ্যে সিভিলাইজড হওয়ার ভ্যানিটি যত বেশি বহন করে)— যেকোনো নৃগোষ্ঠীকে শোষণ করাটা তত বেশি নৈতিক দ্বিধায় ফেলে। সেই দ্বিধার সাথে যুঝতে সবচেয়ে এফেক্টিভ কাজ হচ্ছে আলোচ্য নৃগোষ্ঠীকে সাবহিউম্যান বা ইনহিউম্যান বলে প্রতিপন্ন করা। এটা করা হয়েছে নিগ্রোদের সাথে, ইহুদিদের সাথে।
বইজের এই বই আসলে সেই রকম প্রচেষ্টাগুলোর সাথে লড়াইয়ের বই। আফ্রিকা ও দাসত্বের ইতিহাস, নৃতত্ত্ব সবকিছু মিলিয়ে সাধারণের জন্য লেখা বই।
Before we proceed, a perhaps typical reminder: I have not understood a lot/most/anything of this book.
I have a very mixed feeling regarding this book.
Heidegger wanted to answer the question of all questions, the question of our being. He stopped halfway (the second part of the book has never been published). However, the first part is thought-provoking enough for generations of philosophers.
A personal takeaway of mine from this unfinished magnum opus is the approach of expressing a body of interconnected content pretty coherently because nowadays I often find myself not talking at all in the fear that there is too much to explain.
Here go the things that bothered me...
In existential philosophy, the point of departure is to be expected from existence, not some idealized essence. Heidegger was existential all the way. However, even metaphysics should conform with physics, must me so that we can derive physics from that. We cannot redefine time (at least not usefully) without taking note of what physics says of the time.
The same goes for the Dasein. Dasein, the conscious being is modelled after only conscious beings we know, that is, Human. I think it is important to consult biology in this regard if we want anything verifiable at all.
Both of these two issues, of course, stems from the tendency of not bothering with proof common amongst philosophers.
This book gave me a mixed feeling.
Firstly, I admire E. Frankl, for his unbending will to live, his intellectual attitude- the ability to build something out of utmost discomfort, even in the face of almost certain death. It's not an easy feat to psychoanalyze and create a theory, a whole new school of psychotherapy (Logotherapy) while one himself is part of the subjects. He did and did it excellently.
However, I can't agree with him regarding meaning. Now, there can be meaning, self-imposed, self-explored as he suggested. Those don't need to be intrinsic. However, he also believes in ultimate meaning and didn't put any argument on behalf of his belief. I think I can safely assume that it is due to his faith and perhaps upbringing. He is faithful, and he draws his strength from faith tremendously. His metaphysics is primitive in my opinion.
Still, Logotherapy has a virtue. Unlike other schools, it doesn't treat people as machines with libido, repressions etc but take a real interest in one's current status and environment.
Barabbas was conceived and born in hatred of all things created in heaven and earth and of the Creator of heaven and earth.
Fatalistically Barabbas was unable to have a God. So when he got acquitted and Jesus got crucified, he tried hard to believe, to behave like a Christian but failed miserably.
Lagerkvist portrayed Barabbas as a very dynamic character. Rational yet with a deep urge to believe. Aversive of society, yet kind in his unique way. Vindictive, but not when he is under attack. Confused but his heart is in the right place.
Lagerkvist explored Barabbas, along with some other fantastic character and that's also in only a very few pages, in a concise novel which moves, both emotionally and intellectually.
এই বইটাকে আসলে আত্মজীবনী বা উপন্যাস কোনো জঁরাতেই ফেলা যায় না। কাঠামো আনকনভেনশনাল। প্রথম অংশ খাঁটি আত্মজীবনী, পরের অংশ আত্মজৈবনিক উপন্যাস। মোটের ওপর মেমোয়ার গোত্রে ফেলা হলেও খাঁটি মেমোয়ার এ নয়। যেহেতু আত্মজৈবনিক, লেখকও আলোচনার বিষয়বস্তুতে পরিণত হবেন সেটাই স্বাভাবিক।
পল অস্টার আমেরিকায় ইমিগ্রান্ট ইহুদী একটি পরিবারের ৩য় প্রজন্মের মানুষ। মধ্যবিত্ত মেন্টালিটির উচ্চবিত্ত পরিবারে বড় হলেও শেষে বেছে নেন লেখালেখির মত ‘অকাজ'।
পড়তে গেলে প্রথমেই যেটা মনে হলো সেটা হচ্ছে অস্টার প্রথমত ও প্রধানত একজন কবি। তার গদ্যও ফলত কবির গদ্য— ছান্দিক, ভাবালু, কখনো-সখনো বিক্ষিপ্ত, চিন্তাশীল। ঘটনার, পরিবেশের একেকটা নতুন নতুন ইন্টারপ্রেটেশান বের হয় যা আধুনিক রিয়্যালিস্ট গদ্যে প্রায় অনুপস্থিত আজকাল (এমনকি মুরাকামির কাহিনীর ম্যাজিক-রিয়্যালিজমের নতুন অংশটা ম্যাজিক্যাল, রিয়্যালিটির নতুন ইন্টারপ্রেটেশান না)। তো সেই ইন্টারপ্রেটেশান অনেকক্ষেত্রে নতুন, অনেকক্ষেত্রে পূর্ববর্তী বুদ্ধিজীবিদের থেকে কিছুমাত্র ধার করা (একদম ক্যোট করে, অবচেতনভাবে ইকো করে নয়) এবং সবসময়ই পুরোপুরি সত্যি না হলেও হৃদয়গ্রাহী।
পড়ার পর একটা জিনিস মাথায় এলো। বোধহয় কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো বা পুঁজি পড়ার চেয়েও জরুরি এই নাটকটা, অ্যানিম্যাল ফার্ম বা 1984 এর মত বই পড়া। একদিকে জানা দরকার বিপ্লব হয়ে গেলেই সব লা ভি এন রোজ হয়ে যায় না। অন্যদিকে জানা দরকার যে ‘শ্রেণীশত্রু খতম' ব্যাপারটা শুধুমাত্র খুন হয়ে দাঁড়াতে পারে ইন্টেলেকচুয়াল ইন্টিগ্রিটির অভাবে।