বইটা পড়ছি জানতে পেরে হারুন আমাকে মেসেজ করে বললো, বইটা শেষ হওয়ার পরে আমার মুখ দিয়ে প্রথম যে শব্দটা উচ্চারিত হবে সেটা যেন তাকে জানাই।

আমার মুখ দিয়ে কোনো শব্দ উচ্চারিত হয়নি। শেষের কয়েকটা লাইন বারতিনেক পড়লাম। কিছুই বেরোলো না মুখ দিয়ে। আমি একদম নির্বাক।

“নীল দিগন্তে ফুলের আগুন— সেই আগুন পোড়াচ্ছে কবে?
ত্যাগে আমার ভাগ বসেছে, এই বসন্তে বৃষ্টি হবে।”

কিছু কিছু কথা আছে যার মানে
বুঝিনি এখনও, তবু সন্ধানে
কাটে সকাল বিকেল যেন নেহাতই স্বভাবে

যত দূরে, দূরে, দূরে যাবে, বন্ধু
একই যন্ত্রণা পাবে
একই ব্যথা ডেকে যাবে
নেভা নেভা আলো যতবার জ্বালো
ঝোড়ো হাওয়া লেগে তার শিখা নিভে যাবে

(কবীর সুমন)

Man proposes, god disposes discloses.

ইদানিং প্রায়ই এরকম হচ্ছে। বৃষ্টির জন্যে সকালে মাঠে দৌড়তে যাওয়া পণ্ড হচ্ছে। সিঁড়িতে উপর-নিচে দৌড়ানোর চেষ্টা করেছি, বাড়ির বিড়ালগুলো অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে, আর rolling eyes কিংবা yawning face ইমোজি ছুঁড়ে ছুঁড়ে মারে আমার দিকে।

আমার সঙ্গে কখনও বানিয়ে কথা বলবে না। আমি নিজে কখনও বানিয়ে কথা বলিনা, অন্যরা বললে রাগ করি, বুঝতে পারছো?